মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা ও সুন্নতে খৎনার ইতিহাস

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা ও সুন্নতে খৎনার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি আজকের এই পোস্টটিতে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা ও সুন্নতে খৎনার ইতিহাস। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন।

ভূমিকা

খৎনার: খৎনা (আরবি: ختان‎, ইংরেজি: Circumcision) হল পুরুষের লিঙ্গের অগ্রত্বক (foreskin) কেটে ফেলা। ইসলাম ধর্মে একে "সুন্নাতে খৎনা" বলা হয়। এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত বা প্রথা। 

ইসলাম ধর্মে প্রত্যেকটি ছেলে শিশুদের এই খৎনার করা হয় শিশুকালে। আর মুসলমানি/সুন্নতে খৎনার করা হলো ইসলামে সুন্নত।

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনার ইতিহাস 

১. খৎনার উৎপত্তি ও প্রাচীন ইতিহাস: খৎনার ইতিহাস ইসলাম ধর্মে অনেক পূর্ব যুগ থেকেই চলে আসছে এবং এটি শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে সীমাবদ্ধ নয়। হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সময় থেকে অর্থাৎ ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী, খৎনা প্রথম করেছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ.)। 

তিনি ৮০ বছর বয়সে নিজের হাতে খৎনা করেছিলেন – এটি হাদিস ও ইসলামী ইতিহাসে উল্লেখ আছে। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হাদিস এসেছে যে, "ইব্রাহিম (আ.) খৎনা করেছিলেন খালাল নামক একটি যন্ত্র দিয়ে।" তাঁর অনুসারীদের মধ্যেও খৎনার রেওয়াজ ছিল। 

ইহুদি ধর্মে খৎনা: ইহুদি ধর্মেও খৎনা একটি বাধ্যতামূলক রীতি, যা নবজাতক ছেলেদের জন্মের ৮ম দিনে করা হয়। এটি “ব্রিত মিলা” নামে পরিচিত।

খ্রিস্টধর্ম: খ্রিস্টধর্মের প্রাথমিক যুগে খৎনার প্রচলন ছিল, তবে পরবর্তীতে এটি বাধ্যতামূলক ছিল না। পল (Paul the Apostle) খৎনা নিষ্প্রয়োজন ঘোষণা করেন খ্রিস্টানদের জন্য।

২. ইসলাম ধর্মে খৎনার অবস্থান:

  • খৎনা ইসলামে সুন্নত: খৎনাকে ইসলামে "সুন্নাতে ইবরাহিম" বলা হয়।
  • রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "ফিতরার পাঁচটি কাজ রয়েছে – খৎনা, মোচ কাটা, নখ কাটা, বগলের লোম উঠানো এবং গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করা।" – (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
  • খৎনা ইসলামী পরিচয়ের অংশ: মুসলমান শিশুদের জন্মের পর খৎনা করানো সুন্নত ও পরিচ্ছন্নতার অংশ। এটি শরীরের পবিত্রতা এবং রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক।

৩. ইসলামী ইতিহাসে খৎনা পালন: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবদ্দশায় মুসলিম শিশুদের খৎনা করা হতো। সাহাবিরাও তাঁদের সন্তানদের খৎনা করাতেন। 

বিভিন্ন মুসলিম শাসকদের যুগে খৎনা উৎসব আকারে পালন হতো – বিশেষ করে উসমানী সালতানাতের সময়।

৪. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ: আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান খৎনার বিভিন্ন উপকারিতা তুলে ধরেছে:
  • সংক্রমণ প্রতিরোধ
  • পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
  • যৌনরোগ ছড়ানোর ঝুঁকি কমানো
সুন্নতে খৎনা ইসলামে শুধু একটি ধর্মীয় রীতি নয়, বরং এটি নবী ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নতের অনুসরণ এবং পরিচ্ছন্নতার নিদর্শন। ইসলামী সমাজে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং ধর্মীয় তাৎপর্য বহু শতাব্দী ধরে পালন হয়ে আসছে।

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা

মুসলমানি /সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা অনেক। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা মুসলমানি বা খতনা করার উপকারিতা সম্পর্কে। 

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা জানতে এই প্রতিবেদনটির সাথেই থাকুন।  খৎনা (Circumcision) করার উপকারিতা দুই দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়। যথা:

১) ধর্মীয় উপকারিতা
২) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

১. ধর্মীয় উপকারিতা (ইসলাম অনুযায়ী):
  • ফিতরার অংশ: ইসলামে খৎনা পাঁচটি ফিতরার কাজের একটি, যা প্রাকৃতিক পরিচ্ছন্নতা ও ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পালনীয়। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
  • নবী ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত: এটি "সুন্নাতে ইবরাহিম" নামে পরিচিত, যা রাসূল (সা.) সহ সকল নবীর আদর্শ অনুসরণের নিদর্শন।
  • ইসলামী পরিচয়ের প্রতীক: খৎনা মুসলিম পুরুষদের একটি ধর্মীয় ও সংস্কারজনিত পরিচয় বহন করে।
  • ইবাদতের উপযোগিতা: খৎনা ব্যক্তি-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে, যা সালাতসহ অন্যান্য ইবাদতে সহায়ক হয়।

২. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:


(ক) স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:
  • সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়: খৎনা করা পুরুষদের লিঙ্গে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) এর ঝুঁকি কম হয়।
  • যৌন রোগ প্রতিরোধ: গবেষণায় দেখা গেছে, খৎনা করা পুরুষদের HIV/AIDS, HPV, হারপিস, ও অন্যান্য যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
  • লিঙ্গের পরিচ্ছন্নতা: অগ্রত্বক (foreskin) সরানোর ফলে চামড়ার নিচে ময়লা বা জীবাণু জমে থাকার সম্ভাবনা কমে।
  • লিঙ্গ ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস: খৎনা পুরুষদের লিঙ্গ ক্যান্সার এবং তাদের স্ত্রীদের জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
  • Phimosis ও balanitis প্রতিরোধ: যেখানে অগ্রত্বক সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং সংক্রমণ হয় – খৎনা তা রোধে কার্যকর।

(খ) মানসিক ও সামাজিক দিক:
  • পরিচ্ছন্নতা ও আত্মবিশ্বাস: খৎনার ফলে শিশুর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে ওঠে।
  • সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা: মুসলিম সমাজে এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত ও প্রত্যাশিত একটি রীতি।
  • খৎনা একটি ধর্মীয় সুন্নত হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা। এটি শুধু শরীরকে পরিচ্ছন্ন রাখে না, বরং বহু রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনার করার পর করণীয়

মুসলমানি বা খৎনা করার পর করণীয় বিষয়গুলো শরীরের সঠিক যত্ন ও দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে মুসলমানির (খৎনার) পর করণীয় কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: খৎনার স্থানে যেন ময়লা, প্রস্রাব বা রক্ত না জমে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তার নির্দেশিত হালকা ঔষধি স্যাভলন পানি বা লবণ পানিতে নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। সাবান বা রাসায়নিকযুক্ত কিছু প্রথমদিকে ব্যবহার না করাই ভালো।

২. ব্যথা ও ফোলাভাবের যত্ন: ব্যথা কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। কখনো কখনো ঠান্ডা পানি বা বরফের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে ফোলাভাব কমাতে (সরাসরি না দিয়ে কাপড়ে পেঁচিয়ে)।

৩. ব্যান্ডেজ ও ড্রেসিং-এর যত্ন: খৎনার পর ড্রেসিং সাধারণত কয়েক ঘণ্টা বা একদিন রাখা হয়। এরপর তা অপসারণ করে এলাকা শুকনো রাখতে হয়। ব্যান্ডেজে যদি অতিরিক্ত রক্ত বা পুঁজ দেখা যায়, তবে ডাক্তারকে দেখানো উচিত।

৪. বিশ্রাম: শিশু বা ব্যক্তি যেন যথেষ্ট বিশ্রাম পায়, সেটি নিশ্চিত করা দরকার। দৌড়ঝাঁপ, বাইসাইকেল চালানো, খেলাধুলা কিছুদিনের জন্য এড়িয়ে চলা উচিত।

৫. ঢিলেঢালা পোশাক পরা: খৎনার পর সুতির ও ঢিলেঢালা প্যান্ট বা লুঙ্গি পরা ভালো, যাতে চাপ না পড়ে এবং বাতাস চলাচল সহজ হয়।

৬. খাবারের বিষয়ে: স্বাভাবিক খাদ্য খাওয়া যেতে পারে, তবে পচা-চর্বি জাতীয় খাবার বা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়ানো ভালো। বেশি পানি খাওয়া ও ফলমূল খাওয়া আরোগ্যে সহায়ক।

৭. সংক্রমণের লক্ষণ পর্যবেক্ষণ: নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে
  • অতিরিক্ত ফোলা বা লালচে ভাব
  • দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বা রক্তপাত
  • তীব্র ব্যথা যা স্বাভাবিক ওষুধেও কমে না
  • জ্বর
৮. নামাজ ও পবিত্রতা: ক্ষত শুকালে ও ব্যথা কমলে গোসল করে নামাজ শুরু করতে পারে। তবে শিশুর ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী ধর্মীয় নির্দেশনা মানা হয়।

খৎনার পর নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা, বিশ্রাম এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা সেবায় দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। খৎনা একটি ছোট অপারেশন হলেও যথাযথ যত্ন না নিলে জটিলতা হতে পারে। তাই সাবধানতা ও সচেতনতা  থাকা অপরিহার্য।

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার পর খাবার

মুসলমানি (খৎনা) করার পর খাবার নির্বাচনে কিছুটা সতর্কতা থাকা দরকার, যাতে ক্ষত দ্রুত শুকায়, সংক্রমণ না হয় এবং শিশুর আরোগ্য ত্বরান্বিত হয়।

নিচে মুসলমানির পর গ্রহণযোগ্য ও পরিহারযোগ্য খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো। খৎনার পর যেসব খাবার খাওয়া উচিত:

১. সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার:
  • ভাত, ডাল, নরম রুটি
  • সেদ্ধ ডিম (১-২ দিন পর থেকে)
  • নরম সবজি (লাউ, মিষ্টিকুমড়া, পালং, শসা)
  • স্যুপ (মুরগির স্যুপ, সবজি স্যুপ)
২. ফলমূল ও তরল খাবার:
  • কলা, পেঁপে, আপেল, আমলা, খেজুর
  • নারকেলের পানি, স্যাভলন পানি, হালকা লবণ-চিনির শরবত
  • বেশি পানি পান — এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে
৩. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার:
  • সেদ্ধ মুরগি, মাছ, ডাল — যা ক্ষত দ্রুত সারাতে সহায়ক
  • তবে প্রথম ১–২ দিন ঝাল ছাড়া ও হালকা করে রান্না করতে হবে
খৎনার পর যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত:

১. অতিরিক্ত মসলা ও তেলযুক্ত খাবার: বিরিয়ানি, কাবাব, ঝাল-মসলা দেওয়া তরকারি। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার (পিয়াজু, সমুচা, চিপস)

২. গরম খাবার (যা রক্তপাত বাড়াতে পারে): গরুর মাংস, খাসির মাংস (প্রথম ৫–৭ দিন এড়ানো ভালো)।
চিংড়ি মাছ, ডিম বেশি পরিমাণে।

৩. ঠান্ডা বা জমাট খাবার: বরফ পানি, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস — সংক্রমণ বা ঠান্ডা লাগতে পারে

৪. প্রসেসড ও প্যাকেটজাত খাবার: চকলেট, ফাস্টফুড, ইনস্ট্যান্ট নুডলস — পুষ্টিহীন ও ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বিশেষ টিপস:
  • খাবার গরম করে নরম অবস্থায় খাওয়ানো ভালো
  • অ্যালার্জি থাকলে কিছু ফল বা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
  • ক্ষত শুকানো পর্যন্ত শিশু যদি খেতে না চায়, জোর না করে তরল খাবার দিন
মুসলমানির পর হালকা, পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়ানো উচিত। এতে করে শিশুর শরীর দ্রুত সুস্থ হয়, ক্ষত ভালো হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। খাবারের সঙ্গে বিশ্রাম এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার বয়স

খৎনা করার উপযুক্ত বয়স নির্ভর করে পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও কখনো কখনো চিকিৎসা-সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর। 

তবে ইসলামী রীতি ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে খৎনার বয়স: ইসলামে খৎনা সুন্নাতে মুআক্কাদা (প্রবল সুন্নত) হিসেবে বিবেচিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "ফিতরার মধ্যে পাঁচটি বিষয় আছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে খৎনা।" (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)।

 রাসূল (সা.) ও সাহাবাদের সময় শৈশবে খৎনা করানো হতো। কোনো নির্দিষ্ট বয়স বাধ্যতামূলক না হলেও বালেগ হওয়ার আগেই খৎনা করানো উচিত, যাতে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের উপযুক্ত হয়।

২। বিভিন্ন বয়সের বিবেচনা:
  • নবজাতক বয়সে (৭ দিন থেকে ২ মাস): চিকিৎসা মতে এটি সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ সময়।শিশুর রক্তপাত কম হয়, দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। শিশুর মানসিক চাপ থাকে না।
  • ১–৫ বছর বয়সে: এখনও শিশুর স্মৃতি ও মানসিক চাপ সীমিত। দ্রুত সুস্থ হয় এবং খতনার ক্ষতও কম হয়।
  •  ৬–১০ বছর বয়সে: শিশুর মানসিক সচেতনতা বাড়ে, তাই একটু ভয় বা অস্বস্তি বেশি হতে পারে।তবে এই বয়সেও খৎনা নিরাপদ।
  • বালেগ হওয়ার আগে (১১–১৩ বছর): অনেক সমাজে ধর্মীয় উৎসবের মাধ্যমে এই বয়সে খৎনা করা হয়।তবে কিছুটা মানসিক ও সামাজিক চাপ বেশি হতে পারে।
  • প্রাপ্তবয়স্ক (১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব): খৎনা জটিল হতে পারে, কারণ রক্তপাত ও সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।মানসিক ভয় বা অস্বস্তি বেশি। আরোগ্য লাভের সময় বেশি লাগে। তবে কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে বা বিশেষ কারণে দেরিতে খৎনা করাতে হলে ডাক্তারি সহায়তায় এটি করা সম্ভব।
চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে?
American Academy of Pediatrics (AAP) মতে, নবজাতকের খৎনা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর, তবে পারিবারিক-ধর্মীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা উচিত। উন্নত দেশে সাধারণত জন্মের পর ১–২ সপ্তাহের মধ্যে খৎনা সম্পন্ন করা হয়।

সর্বোত্তম সময় হলো জন্মের পর প্রথম ৭ দিন থেকে ২ মাসের মধ্যে। তবে ৫–৭ বছরের মধ্যে করানো ইসলামি রীতি ও শিশুর স্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপযুক্ত। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা ও চিকিৎসা সহায়তায় খৎনা করানো উচিত।

মন্তব্য। মুসলমানি/সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা ও সুন্নতে খৎনার ইতিহাস 

সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। আশা করি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। । 

যদি ভালো লেগে থাকে তবে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে মুসলমানি /সুন্নতে খৎনা করার উপকারিতা ও সুন্নতে খৎনার ইতিহাস এই পোস্টটির সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url