নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও দোয়া

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগন, আপনাদের সাথে আজ উপস্থাপন করতে চলেছি আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও দোয়া সম্পর্কিত আর্টিকেল নিয়ে।
সন্তান মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর প্রতিটি মা বাবার কাছে তার সন্তান কলিজার টুকরো। এই প্রানপ্রিয় সন্তান যদি অসুস্থ হয় পড়ে তাহলে মা বাবার দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। তাহলে চলুন, নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও দোয়া সম্পর্কিত আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

নবজাতকের (০–৬ মাস বয়সী শিশুর) পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। জন্মের পর শিশুর পাচনতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ব না থাকায় দুধ হজম করতে সময় লাগে, ফলে পেটে গ্যাস জমে ফেঁপে যায়।

নিচে নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার কিছু নিরাপদ ও কার্যকর ঘরোয়া উপায় বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো 

১. শিশুকে ঢেকুর তুলতে সাহায্য করুন: প্রতিবার বুকের দুধ খাওয়ানোর পর শিশুকে অবশ্যই ঢেকুর তুলতে হবে।

পদ্ধতি: শিশুকে কাঁধে তুলে আলতো করে পিঠে চাপড় দিন।
৫–১০ মিনিট সময় দিন, যাতে অতিরিক্ত বাতাস বের হয়ে যায়। এতে গ্যাস জমে থাকা রোধ হয়।

২. বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন শিশুর মুখ যেন পুরো নিপল এবং অ্যারিওলার অংশ ঢেকে রাখে। এতে দুধ খাওয়ার সময় বাতাস কম ঢোকে এবং গ্যাস তৈরি হয় না।

৩. শিশুর পেটে আলতো মালিশ করুন (Tummy Massage): পদ্ধতি: দুই হাতে শিশুর পেটে ঘড়ির কাঁটার দিকে হালকা করে মালিশ করুন। 

সরিষার তেল বা বেবি অয়েল সামান্য গরম করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় হয় ও গ্যাস বের হয়ে যায়।

 ৪. ‘সাইকেল এক্সারসাইজ’ (পা নড়ানোর ব্যায়াম): পদ্ধতি: শিশুকে চিত করে শুইয়ে দুই পা আলতোভাবে সাইকেল চালানোর মতো করে নড়ান। এতে পেটে চাপ পড়ে এবং জমে থাকা বাতাস বের হয়ে যায়।

৫. গরম কাপড় সেঁক (Warm Compress): পদ্ধতি: একটি পরিষ্কার কাপড় হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে চেপে জল ঝরিয়ে নিন। শিশুর পেটে হালকা করে ২–৩ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এতে গ্যাসের কারণে সৃষ্ট ব্যথা ও অস্বস্তি কমে।

৬. মায়ের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন (যদি মা বুকের দুধ খাওয়ান): মা যেন গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার (যেমন: বাঁধাকপি, ডাল, কোলা, মশলাযুক্ত খাবার) কম খান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং হালকা খাবার গ্রহণ করুন। মায়ের খাবার শিশুর হজমে প্রভাব ফেলে।

৭. শিশুকে ঘন ঘন কিন্তু অল্প অল্প দুধ খাওয়ান: একবারে বেশি খাওয়ালে শিশুর পেট ভারী হয়ে যায় এবং গ্যাস জমে।
অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাওয়ানো ভালো।

৮. শিশুকে কিছুক্ষণ “টামি টাইম” দিন: পদ্ধতি: শিশুকে পেটের ওপর শুইয়ে রাখুন (আপনার তত্ত্বাবধানে)। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও গ্যাস স্বাভাবিকভাবে বের হয়।

সতর্কতা: শিশুর বয়স ২ মাসের কম হলে কোনো ঘরোয়া ঔষধ (যেমন এন্ডি ড্রপস, গ্যাসের ওষুধ) নিজে থেকে ব্যবহার করবেন না। যদি পেট অস্বাভাবিক ফুলে যায়, বমি হয়, খাওয়ায় অনীহা বা কান্না বন্ধ না হয় — তবে দ্রুত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নিয়মিত ঢেকুর তোলা, সঠিকভাবে খাওয়ানো, পেট ম্যাসাজ, পা নড়ানো এবং গরম কাপড় সেঁক — এগুলো নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ ঘরোয়া উপায়।

নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়

নবজাতকের পেটে গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয় — কারণ তাদের পাচনতন্ত্র এখনও পুরোপুরি গঠিত হয় না। 

তবে অনেক সময় মা-বাবা বুঝতে পারেন না শিশুর কান্না বা অস্থিরতার কারণ গ্যাস কিনা। নিচে নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়গুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো 

১. হঠাৎ কান্না শুরু করা ও শান্ত না হওয়া: শিশু হঠাৎ করে কান্না শুরু করে, বিশেষ করে দুধ খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পর।কোলে নিলেও, দুধ খাওয়ালেও শান্ত হয় না। এটি সাধারণত পেটে গ্যাস জমে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ।ইজ

২. পেট ফুলে ওঠা বা টান টান মনে হওয়া: শিশুর পেট স্বাভাবিকের তুলনায় ফোলা বা শক্ত মনে হয়। পেটে চাপ দিলে হালকা টান বা ‘বাতাস জমে থাকা’ অনুভব হয়। এটি স্পষ্ট গ্যাস জমার লক্ষণ।

৩. পা কুঁচকে বুকের দিকে টেনে আনা: শিশু প্রায়ই পা দুটো বুকের দিকে টেনে নেয় বা পা নড়াচড়া করে। এটি পেটের ব্যথা বা গ্যাস বের করার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।

৪. দুধ খাওয়ানোর সময় বা পরে কেঁদে ওঠা: বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশু বিরক্ত হয়, দুধ ছেড়ে দেয়, বা মুখে বিরক্তি প্রকাশ করে। সাধারণত দুধের সাথে বাতাস ঢুকে গ্যাস জমলে এমন হয়।

৫. ঢেকুর না তোলা বা কম তোলা: দুধ খাইওয়ানোর পর যদি শিশুর ঢেকুর না ওঠে, তবে বোঝা যায় দুধের সাথে বাতাস ঢুকেছে। ঢেকুর না উঠলে সেই বাতাস পরে পেটে জমে গিয়ে গ্যাস সৃষ্টি করে।

৬. ঘুমে অস্থিরতা বা ঘন ঘন জেগে ওঠা: শিশুটি ঘুমের সময় হঠাৎ কেঁদে ওঠে বা পা মারে। দীর্ঘ সময় শান্তভাবে ঘুমাতে পারে না। এটি পেট ব্যথা বা গ্যাসের চাপের কারণে হয়ে থাকে। 
৭. বেশি বাতকর্ম (ফার্ট) করা: যদি শিশু ঘন ঘন বাত ছাড়ে বা ফার্টের সময় অস্বস্তি অনুভব করে, তাহলে বুঝতে হবে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমেছে।

 ৮. খাবারে অনীহা: শিশুটি দুধ খেতে চায় না বা খাওয়ার সময় কান্না করে। পেটে চাপ থাকায় খাওয়ার সময় অস্বস্তি হয়।

৯. পেট থেকে “ঢপ ঢপ” বা “গরগর” শব্দ আসা: অনেক সময় পেট থেকে হালকা শব্দ শোনা যায়। এটি গ্যাস চলাচলের কারণে হয়ে থাকে।

১০. শিশুর মুখ বা কান্নায় লালচে ভাব দেখা দেওয়া: ব্যথার কারণে শিশুর মুখ লাল হয়ে যায়, কপালে ঘাম আসে, বা কান্না থামে না। গ্যাসের ব্যথা অনেক সময় শিশু সহ্য করতে পারে না, ফলে এমন প্রতিক্রিয়া দেয়।

যখন ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন: নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দেরি না করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
  • পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গেছে ও শক্ত লাগছে
  • শিশু খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে
  • বমি করছে বা পায়খানা হচ্ছে না
  • কান্না একটানা থামছে না
  • জ্বর বা দুর্বলতা দেখা।
নিয়মিত দুধ খাওয়ানোর পর ঢেকুর তোলা, সঠিক ভঙ্গিতে খাওয়ানো, ও পেট ম্যাসাজ করা হলে নবজাতকের গ্যাস সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা

বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত?

বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কী খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে শিশুর বয়সের ওপর। কারণ নবজাতক (০–৬ মাস), ৬ মাসের পর (শিশু খাদ্য গ্রহণ শুরু), এবং বড় বাচ্চা (১ বছর বা তার বেশি) সবার খাদ্য আলাদা হয়।

নিচে বয়সভিত্তিক ও নিরাপদভাবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

ক) নবজাতক (০–৬ মাস বয়সী): এই বয়সে শিশুর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ খাবার হলো শুধু মায়ের দুধ। অন্য কোনো খাবার বা পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং ক্ষতি হতে পারে।

কী করবেন?
শিশুকে ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ান। দুধ খাওয়ানোর পর ঢেকুর তুলতে সাহায্য করুন (পিঠে আলতো চাপ দিন)। মা যেন নিজের খাদ্যাভ্যাসে গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার পরিহার করেন।

মা যা খাবেন না: যদি শিশুর গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়, তাহলে মা এ খাবারগুলো কম খান: বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুগডাল, ছোলা, আলু, কোলা, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার।

৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশু: এই বয়সে শিশুকে দুধের পাশাপাশি কিছু সহজপাচ্য খাবার দেওয়া যায়। গ্যাসের সময় হালকা, সেদ্ধ ও নরম খাবারই ভালো।

গ্যাসের সময় শিশুকে যা খাওয়ানো যেতে পারে:
  • সেদ্ধ চালের পানি বা ভাতের মাড়। হালকা ও পেটের জন্য আরামদায়ক।
  • খুব পাতলা ডাল স্যুপ (মসুর ডাল ভালো)। প্রোটিন দেয় এবং সহজে হজম হয়।
  • সেদ্ধ আলু বা আলুর ভর্তা (একটু লবণ দিয়ে)। সহজে হজম হয়, পেট ঠান্ডা রাখে।
  • সেদ্ধ গাজর বা গাজরের স্যুপ। পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও হজমে সহায়ক।
  • সেদ্ধ আপেল বা আপেল পিউরি। হজমে সহায়ক ও গ্যাস কমায়।
  • সেদ্ধ কলা (বিশেষ করে পাকা কলা)। হজমে ভালো, তবে কাঁচা কলা নয়।
খ) ১ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশু: এ বয়সে শিশুকে কিছুটা বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার দেওয়া যায়, তবে গ্যাসের সময় হালকা খাবার দিতে হবে।

উপকারী খাবার:
  • ভাত + ডাল (পাতলা করে রান্না করা)
  • সবজির স্যুপ (গাজর, লাউ, ঝিঙা)
  • সেদ্ধ ডিমের কুসুম
  • পাকা কলা
  • দই (অল্প পরিমাণে, ঠান্ডা নয়)
  • জিরা পানি (অল্প অল্প করে দেওয়া যেতে পারে)
গ)  যা একদম দেওয়া উচিত নয়:
  • কাঁচা সবজি (বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি)
  • ডাল বা ছোলা জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে
  • কোল্ড ড্রিংক, কোলা বা চকলেট
  • অতিরিক্ত দুধ (যদি হজমে সমস্যা হয়)
  • তেলে ভাজা খাবার বা ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার বিশেষ পরামর্শ

বাচ্চাদের পেট ফাঁপার ঔষধের নাম কি?

তবে প্রথমেই একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা জরুরি। আর সেটা হলো নবজাতক বা ছোট বাচ্চাদের (বিশেষ করে ০–৬ মাস বয়সে) পেট ফাঁপা বা গ্যাসের ওষুধ নিজে থেকে দেওয়া একদমই নিরাপদ নয়।

শিশুর বয়স, ওজন ও অবস্থার ওপর নির্ভর করে ডাক্তারই সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করেন। তবুও সচেতনতার জন্য নিচে ডাক্তাররা সাধারণত যে ওষুধগুলো শিশুদের পেট ফাঁপা বা গ্যাসের জন্য ব্যবহার করেন, সেগুলোর নাম ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হলো:

বাচ্চাদের পেট ফাঁপার সাধারণ ওষুধ (ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহারযোগ্য)

1. Endi Drops (এন্ডি ড্রপস)
  • উপাদান: Simethicone
  • ব্যবহার: নবজাতকের পেটে জমে থাকা গ্যাস বের করতে সাহায্য করে।
  • কাজের ধরন: দুধের সাথে ঢোকা বাতাসকে ফেনা থেকে তরলে পরিণত করে, ফলে গ্যাস সহজে বের হয়: শিশুর বয়স অনুযায়ী ডাক্তার নির্ধারণ করেন (সাধারণত 0.3ml–0.5ml)।
2. Colicaid Drops (কলিকেইড ড্রপস)
  • উপাদান: Dill oil + Fennel oil + Simethicone
  • ব্যবহার: পেট ফাঁপা, গ্যাস বা কোলিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • কাজের ধরন: প্রাকৃতিক উপাদান থাকার কারণে হজমে সহায়তা করে ও গ্যাস কমায়।
3. Binfal Drops / Neopeptine Drops
  • উপাদান: Enzyme + Carminative oils
  • ব্যবহার: খাবার হজমে সাহায্য করে, গ্যাস ও অস্বস্তি কমায়।
  • বিশেষত্ব: এক বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য ডাক্তাররা মাঝে মাঝে দেন।
4. Gastix Drops (গ্যাস্টিক্স ড্রপস)
  • উপাদান: Simethicone
  • ব্যবহার: শিশুর পেটে জমে থাকা বাতাস বের করতে সাহায্য করে।
  • শিশুর বয়স: সাধারণত ১ মাসের বেশি বয়সী শিশুকে দেওয়া হয়, তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে।
যা মনে রাখবেন (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ): কোনো ওষুধ নিজে থেকে শিশুকে দেবেন না। প্রতিটি ওষুধের ডোজ শিশুর বয়স, ওজন ও অবস্থার উপর নির্ভর করে। 

ভুল ডোজ দিলে শিশুর হজম, লিভার বা কিডনি সমস্যা হতে পারে। যদি পেট খুব ফুলে যায়, কান্না থামে না, বা বমি হয় → অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম জানা খুব দরকার, কারণ শিশুর বয়স, ওজন ও ওষুধের ধরন অনুযায়ী নিয়ম ভিন্ন হয়। ভুল নিয়মে দিলে ওষুধের উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।

নিচে আমি সহজভাবে বয়সভিত্তিক ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম, ডোজ ও সতর্কতা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি

 ১. নবজাতক (০–৬ মাস বয়সী): সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওষু Endi Drops (এন্ডি ড্রপস)। মূল উপাদান: Simethicone 

খাওয়ানোর নিয়ম: সাধারণত দিনে ২–৩ বার দেওয়া হয়।প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর পর ১৫–২০ মিনিট পরে দেওয়া সবচেয়ে ভালো। শিশুকে সোজা করে কোলে নিয়ে মুখে ড্রপ আকারে দিন।

সাধারণ ডোজ (ডাক্তার অনুমোদিত থাকলে):
  • নবজাতক (১ মাস পর্যন্ত): ০.২৫ মি.লি.
  • ১–৬ মাস বয়সী শিশু: ০.৩–০.৫ মি.লি.
কিন্তু ডাক্তার না বললে কখনোই নিজে থেকে দেবেন না।

২. ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশু: সাধারণ ওষুধ Colicaid Drops / Gastix Drops / Neopeptine Drops

খাওয়ানোর নিয়ম: খাবারের আগে বা পরে দেওয়া যায় (সাধারণত খাবারের পরে দেওয়া উত্তম)। শিশুর পেট বেশি ফুলে গেলে ডাক্তাররা দিনে ২–৩ বার দিতে বলেন। ড্রপারে নির্দিষ্ট পরিমাণ নিয়ে সরাসরি শিশুর মুখে দিন।

সম্ভাব্য ডোজ (শুধু তথ্যের জন্য): ০.৫ মি.লি. থেকে ১ মি.লি. পর্যন্ত, দিনে ২–৩ বার। বয়স ও ওজন অনুযায়ী ডাক্তারই চূড়ান্ত ডোজ নির্ধারণ করবেন।

৩. ১ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশু: ব্যবহৃত ওষুধNeopeptine Drops / Syrup / Binfal Syrup

খাওয়ানোর নিয়ম: খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে দেওয়া যেতে পারে। একবারে ১–২ মি.লি., দিনে ২–৩ বার পর্যন্ত (ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী)।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
  • নিজে থেকে কোনো ওষুধ দেবেন না।
  • শিশুর গ্যাসের সমস্যা অনেক সময় অন্য অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে।
  • ড্রপ খাওয়ানোর আগে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন।
  • ওষুধ খাওয়ানোর পর ঢেকুর তুলতে সাহায্য করুন।
  • একইসঙ্গে একাধিক গ্যাসের ওষুধ দেবেন না।
  • ওষুধ ঠান্ডা বা বরফজলে রাখবেন না, রুম টেম্পারেচারে রাখুন।
  • যদি শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ খায় — আগে মায়ের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url